ঢাকা, ২৭ নভেম্বর বুধবার, ২০২৪ || ১৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৫৮৭

মানুষ বাঁচাতে জীবন করেছিলেন তুচ্ছ

চলে গেলেন ফায়ারম্যান সোহেলও   

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১১:২৪ ৮ এপ্রিল ২০১৯  

বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগার পর উদ্ধার অভিযানে নেমেছিলেন ফায়ারম্যান সোহেল রানা। আটকা পড়া অনেক মানুষের জীবন বাঁচাতে কাজ করেছেন নিজের জীবন তুচ্ছ করে। একপর্যায়ে নিজেই আহত হন গুরুতর। শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না তাকেই। মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ফায়ারম্যান সোহেল সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনি:শ্বাস ত্যাগ করেন।

 

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর শাকিল নেওয়াজ জানান, বাংলাদেশ সময় রোববার দিবাগত রাত ২টা ১৭ মিনিটে সোহেল মারা যান। তিনি ঢাকার কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনে ফায়ারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন সোহেল।

 

গেল ২৮ মার্চ এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের উঁচু ল্যাডারে (মই) উঠে আগুন নেভানো ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারকাজ করছিলেন সোহেল। একপর্যায়ে তাঁর শরীরে লাগানো নিরাপত্তা হুকটি মইয়ের সঙ্গে আটকে যায়। তিনি মই থেকে পিছলে পড়ে বিপজ্জনকভাবে ঝুলছিলেন। সেখানে আঘাতে পা আটকে গিয়ে একটি পা কয়েক জায়গায় ভেঙে যায়। সেফটি বেল্টের চাপে পেটের একটা অংশও থেঁতলে যায়।

 পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। দেশে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু অবস্থা অপরিবর্তিত থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য গত শুক্রবার তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন তিনি।

এফ আর টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় সোহেলসহ ২৭ জনের মৃত্যু হলো। এ ঘটনায় আহত হন অর্ধশতাধিক ব্যক্তি।

 

ফায়ারম্যান সোহেল রানার বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার চৌগাংগা গ্রামে। পরিবারের বড় ছেলে রানা ২০১৫ সালে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সে যোগ দেন।

 

 

 

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর